বাংলাদেশের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। খুব অল্প সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে নাম লেখায়। কিভাবে এত দ্রুত সময়ে ইভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। যাত্রাটা সহজ হলেও শেষের দিকে এসে ইভ্যালি কোম্পানিকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে বিশাল অংকের টাকার গরমিল এর। আজকে আমি আপনাদেরকে ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবো।


বাংলাদেশের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি কেমন?

বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা অনেকেই অবগত আছেন যে কিছুদিন পূর্বে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল মাহমুদ কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ওরা কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বর্তমানে উনি জেলখানায় বন্দি রয়েছেন। এমতাবস্থায় কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও  ম্যানেজমেন্ট ছাড়া কম্পানি সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ইভ্যালির প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিতে প্রবলেম হচ্ছে তাছাড়া আগে যারা রিফান্ড রিকুয়েস্ট করেছিলেন তারাও রিফান্ড রিকুয়েস্ট পারছেন না অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে বর্তমানে কোম্পানি কার্যকলাপ বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র অনলাইনে সেবাদান এবং কল সেন্টার খোলা রয়েছে গ্রাহক শুধুমাত্র তাদের প্রোডাক্ট এর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারছেন এবং বিভিন্ন সেবা নিতে পারছেন।


ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রী গ্রেফতার।

প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রি শামীমা নাসরিন কে গ্রেপ্তার করেছে রেব। মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এর আগে বুধবার রাতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন মামলার। এজাহারে বলা হয়েছে ইভ্যালির বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে কিছু পণ্যের অর্ডার দেন তিনি একই সময়ের মূল্য বাবদ অনলাইন ব্যাংকিংয়ে টাকা শোধ করেন। অর্ডার করার 45 দিনের মধ্যে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলা হলেও এখনও তিনি কিছুই পাননি। এরকমই একটি অভিযোগের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এখন বর্তমানে ইতালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রীকে আইনের আওতায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে তাদেরকে তদন্ত করে সঠিক তথ্য আদায়ের ব্যবস্থা করে সাধারণ জনগণের টাকা ফেরত দেওয়ার অথবা পণ্য দেওয়ার একটা ব্যবস্থা করে দেবেন।


ইভ্যালি থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ আপাতত দেখছেন না আইনজীবীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ভোক্তা অধিকারে মামলা করার পরামর্শ এদিকে প্রতিষ্ঠানটির দেনা 1000 কোটি টাকায় কিভাবে দাঁড়ালো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে একইসঙ্গে এতে কার কতটুকু দেনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিভাবে এক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ালো বিষয়টি তদন্ত চলছে।

এদিকে অভিযোগের গ্রেফতারের পর থেকেই আলোচনায় গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বিষয়টি। তবে টাকা ফেরতের কোন সুযোগ দেখছেন না। আইনজীবীরা বলছেন শাস্তি নিশ্চিত আইনি লড়াইয়ে যেতে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম কারণ আমরা যেটা দেখেছি যে তাদের দেনা এক হাজার কোটি টাকা আর তাদের ব্যাংকে আছে মাত্র 30 লক্ষ টাকা বাকি টাকা এখন কোথায় যাবে তবে নিজেদের সচেতন হতে বলছে তারা কিভাবে ব্যবসা পরিচালিত হবে সেক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যক্তিগত মিটার সংক্রান্ত একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ডিগ্রি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে টাকা ফেরাতে মামলা করতে হবে। ভোক্তা অধিকারে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।


ইভ্যালি সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন এর তিন দিনের রিমান্ড।

ইভ্যালি সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন এর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেলা আড়াইটার দিকে গুলশান থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে 10 দিনের রিমান্ডের আবেদন করন। শুনানি শেষে আদালত দুজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে এ সময় চলাকালে আদালতের আদেশ মানতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে গ্রাহক অপূর্ণ সরবরাহকারীদের কাছেই দেনা 1000 কোটি টাকা গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। সব মিলিয়ে সম্পদের সর্বোচ্চ মূল্য 15 কোটি টাকা যা দিয়ে তাই মেটানো সম্ভব নয় জেনে বুঝে তাই দেনা বাড়িয়েছেন রাসেল। পরিকল্পনা ছিল সব সহ প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি কোম্পানির কাছে বিক্রি বা শেয়ার মার্কেটে নিয়ে আসা এই কৌশল ব্যর্থ হলে দেউলিয়া ঘোষণা্র পরিকল্পনা করেন তিনি ।

আরো পড়ুন= রিং আইডি এর বর্তমান পরিস্থিতি কি?


ইভ্যালির গ্রাহক পণ্য অথবা টাকা ফেরত পাবেন ?

ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় বর্তমানে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রী পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। যেহেতু তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং পুলিশ  তাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বা ইনফরমেশন কালেক্ট করছেন। তাই যদি কোম্পানি আইনের বিরুদ্ধে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য যে সকল আইন বা নিয়ম কানুন বেঁধে দিয়েছেন সেগুলোর বিপরীতে যদি কোন প্রকার কাজ উনারা না করে থাকেন তবে গ্রাহক তার পণ্য অথবা টাকা ফেরত পেতে পারেন। অন্যদিকে যদি বাংলাদেশ কর্তৃক সরকারি নিয়ম বা আইন ভঙ্গ করা হয় তবে এর যথাযথ শাস্তি ওনারা পাবেন এবং গ্রাহকের টাকা পাবার অনিশ্চয়তা দেখা যেতে পারে।


Post a Comment

0 Comments