বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর বর্তমান পরিস্থিতি।

গত ২ বছরে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে প্রায় কয়েকগুন বেশি। এই কয়েক বছরে বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খুব দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের  ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বেড়ে উঠলেও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে প্রায় 90% ই কমার্স প্রতিষ্ঠান। আগে যেমন বাংলাদেশে সরকারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিয়মকানুন বা আইনি কোনো দলিল না থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিকে নজর দিয়েছেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাড়ার সাথে সাথে প্রতারণার সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রাহক হয়রানি এবং লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা শোনা যায় মাঝে মাঝে। তাই বাংলাদেশ সরকার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ করার দিকে নজর দিয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে ই-কমার্স প্রতিষ্টান কতটা এগিয়ে যাবে এবং বিভিন্ন তথ্য আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। 


বাংলাদেশে ই-কমার্সের বর্তমান পরিস্থিতি কি?

বাংলাদেশে ই-কমার্স এর বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই জটিল বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ই-কমার্স সাইট বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করুণা পরিস্থিতির কারণে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হুড়মুড় করে বেড়েই চলেছে। তাছাড়াও বাংলাদেশের জনগণ বর্তমানে ডিজিটাল হয়েছে। ঘরে বসে পণ্য অর্ডার এবং ঘরে বসেই পেমেন্ট করার সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুকে পড়ছে। এটি একটি বাংলাদেশের ইকোনমিতে খুবই ভালো দিক বলে বিবেচনা করা যায়।

বাংলাদেশের জনগণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিকে ভরসা করলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের ভরসা রাখতে পারেনা। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জনগণের গ্রাহকের টাকা বিদেশে পাচার এবং গ্রাহকের হয়রানি করার অভিযোগ উঠে এসেছে। তাছাড়াও অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। যার ফলে আস্তে আস্তে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর উপর থেকে সাধারণ গ্রাহকের ভরসা উঠে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের ইকোনমিতে অনেক প্রভাব পড়ছে। ই-কমার্সের নামে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তারমধ্যে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম হল রিং আইডি, ইভ্যালি, ই-অরেন্স এছাড়াও আরও অনেক কোম্পানি। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে এ ধরনের প্রতারণামূলক কোম্পানিগুলোকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছেন। আশা করা যায় খুব দ্রুত এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা দেওয়া হবে। 


ই-কমার্সের নামে বিদেশে অর্থ পাচার

বাংলাদেশ বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ই-কমার্সের নামে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাচার করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করলেও তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারছেন না। সাধারণ জনগণকে অল্প টাকায় দামি প্রোডাক্ট পাবার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বর্তমানে বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনলেও বাংলাদেশের আরো বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ ধরনের কার্যকলাপ এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় না আনলে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পর্যালোচনাকারি  সরকারি কর্মকর্তারা নতুন নোটিশ এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সে আইন অমান্য করছেন এবং তারা তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরকার জব্দ করেছে। আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।


গ্রাহক হয়রানিতে শীর্ষে যে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্দেশিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নতুন আইন অনুযায়ী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে পণ্য ডেলিভারির সময় এবং ডেলিভারি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দেওয়ার সঠিক সময় বেঁধে দিলেও মানছে না বাংলাদেশের বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। বরং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহককে দিব্যি হয়রানি করে চলেছে।  তার মধ্যে অন্যতম হলো ইভ্যালি নামের একটি বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। অল্প সময়ে এ প্রতিষ্ঠানটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। অল্প টাকায় দামি প্রোডাক্ট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহককে আকৃষ্ট করে প্রোডাক্ট ক্রয় করিয়ে গ্রাহককে সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছেন না। ৪৫ দিনের ভিতরে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ছয় মাসেও প্রোডাক্ট পাচ্ছেন না অনেক গ্রাহক। রিফান্ড রিকোয়েস্টের সিস্টেম থাকলেও রিকুইস্ট দেওয়ার পর অপেক্ষা করতে হয় আরো ছয় মাস।

সরকার কর্তৃক নতুন নির্দেশনা দিলেও তারা একই সিস্টেমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইভ্যালি কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয় এবং  সরকার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। ছাড়াও আরও বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে রয়েছে যারা এ ধরনের কার্যকলাপ এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রডাক্ট দিচ্ছেনা মাসের-পর-মাস সাধারণ গ্রাহকদের কে ঘুরাচ্ছে। গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না আবার গ্রাহক রিফান্ড রিকোয়েস্ট চাইলেও তাদেরকে তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এভাবে দিন দিন যেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহক হয়রানি এবং প্রতারণার হার বেড়েই চলেছে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের গ্রাহক হয়রানি এবং প্রতারণা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। 


Post a Comment

1 Comments

  1. Use the money to learn how to to|learn to} use a brand new} technique you have have} examine and what to attempt, risk-free. If may be} looking for no deposit free spins, then could have to|you'll have to} be fast. This kind of offer just isn't as frequent because it was, and if and when they're made obtainable, they will be up for less than|for under} a short time|a quick while}. The adverts and offers above on this web page are automatically up to date, so should you do see a free spin offer, positive you|ensure you|be positive to} act rapidly click on on} the link. As soon because the offer is eliminated, we are going to automatically remove 카지노 사이트 it from the site. There might be an ever so slight delay, so be fast when they come up.

    ReplyDelete